ঢাকা, রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

আদালত চত্বরে শাজাহান-সোবহানকে ফুলের মালা পরিয়ে মুক্তির দাবিতে স্লোগান 

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৬  
আপডেট :
 ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৩

আদালত চত্বরে শাজাহান-সোবহানকে ফুলের মালা পরিয়ে মুক্তির দাবিতে স্লোগান 
প্রিজনভ্যান থেকে নামার সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র দীপ্ত দে ও রাজমিস্ত্রি তাওহীদ সন্ন্যামাত হত্যা মামলায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও আবদুস সোবহান ওরফে গোলাপকে জেলার আদালতে হাজির করা হয়। রোববার প্রথমবারের মতো তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। তাদেরকে আদালতে তোলার খবরে আজ সকাল থেকেই আদালত চত্বরে আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী ভিড় করেন। এ সময় দুজনের মুক্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়া হয়।

বেলা ১১টার দিকে শাজাহান খান ও আবদুস সোবহানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক সাজিদ-উল-হাসান চৌধুরী আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। শাজাহান খান মাদারীপুর-২ (রাজৈর ও সদরের একাংশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সোবহান মাদারীপুর-৩ (কালকিনি ও সদরের একাংশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তারা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা।

দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় আদালত চত্বরে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান থেকে নামার পর শাজাহান খান ও সোবহানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন তাদের অনুসারীরা। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি।

আদালতের কাঠগড়ায় অন্য আসামিদের মতো আলোচিত এই দুই নেতাকে তোলা হয়নি। তাঁদের কাঠগড়ার পাশে দুটি কাঠের চেয়ারে বসতে দেয়া হয়। পরে শুনানি শুরু হলে দুজনই দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মুক্তির আকুতি জানান। আদালতে কমপক্ষে ৩০ আইনজীবী শাজাহান খান ও সোবহানের পক্ষে জামিনের জন্য আবেদন জানান। ১৫ মিনিট জামিন শুনানি শেষে বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত থেকে শাজাহান খান ও সোবহানকে নামানোর সময়েও তাদের ঘিরে মুক্তির দাবি জানান নেতা-কর্মীরা।

পুলিশ সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে, ২৫ আগস্ট রাজধানীর নাখালপাড়ার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার তেজগাঁও থানার পুলিশ।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, মাদারীপুরে আলোচিত দুটি হত্যা মামলায় শাজাহান খান ও আবদুস সোবহানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তারা আগামী শুনানিতে এই দুই আসামির রিমান্ডের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত